৬ মাসের কম বয়সী বাচ্চাদের শুধুমাত্র ব্রেস্ট মিল্ক দিবেন যতোটা সম্ভব। আর্টিফিশিয়াল বা কৌটার দুধ এড়িয়ে চলবেন একেবারে ইমার্জেন্সি না হলে। গরমে বাচ্চাদের ডায়রিয়া, বদহজম, বিভিন্ন চর্মরোগ, সর্দি কাশি, নিউমোনিয়া হতে বেশি দেখা যায়। কাজেই শিশুদের খাবার এমন হতে হবে যেন তা থেকে রোগ সংক্রমণ না হয়।

এছাড়াও গরমে শিশুর খাবার তৈরির সময় আরও যে বিষয়গুলো মনে রাখতে হবে সেগুলো হলঃ
১) বাচ্চাদের খাবার হতে হবে সহজপাচ্য। সে হিসেবে নরম করে রান্না ভাত বা জাউ ভাত হতে পারে তাদের কমন খাবার। কম তেল মসলায় /পাঁচফোড়নে রান্না করা সবজি, আর পেঁপে লাউ, ঝিঙ্গা, শশা ইত্যাদি পানি জাতীয় সবজি দিয়ে পাতলা করে মাছের ঝোল দেওয়া যেতে পারে।
২) বাসি খাবার, বাইরের খাবার, ভাজা পোড়া এগুলো পুরোদমে এড়িয়ে যেতে হবে। হালকা পুষ্টিকর খাবার যেমন সবজি দিয়ে নরম পাতলা খিচুড়ি (কম তেল মসলায়), সবজির স্যুপ, মাছ বা মাংসের পাতলা ঝোল দিতে পারেন। এছাড়া ফ্রিজের পানি সরাসরি পান করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
৩) ফল বা ফলের জুস ইত্যাদি যতোটা দিতে পারেন ভালো। ডাবের পানি, লেবুর শরবত, তরমুজ, পেঁপে, জাম, জামরুল ইত্যাদি দেশীয় ফল শিশুকে খেতে দিন। একটু বড় বাচ্চা হলে খাবারের সাথে শশা, গাজর, লেবু দিতে পারেন। মাঝে মাঝে খাবারে রাখতে পারেন দই-চিড়া কলা।
৪) পানি পানের ক্ষেত্রে ফিল্টার পানি পান করাতে হবে। বাইরের খোলা শরবত যেন শিশু না খায়।
৫) প্যাকেট জাত খাবার, চিপস, কেক, চকলেট, আচার, বিস্কুট, দেওয়ায় সতর্ক থাকুন।